আমরা আসছি - করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে আক্রান্তদের সাহস যোগাতে নব উদ‍্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

5th September 2020 5:00 pm হুগলী
আমরা আসছি - করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে আক্রান্তদের সাহস যোগাতে নব উদ‍্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন ব্যান্ডেল এর গান্ধী কলোনির এক যুবক। অভিযোগ তার পর  নানা জায়গা থেকে শুনতে হয়েছে নানা ধরনের কথা। চেনা মানুষের অচেনা ব্যবহার কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল যুবকের। মনের শক্তিতে জয় করেছিলেন করোনাকে। তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন শুধু করোনা রুগি নয়, সমস্ত রুগির পাশে দাঁড়াবেন। সেই থেকে শুরু হল সংগঠন তৈরী করার কাজ। সদস্য সংখ্য ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। সংঠনের নাম দেওয়া হল -  আমরা আসছি। সংগঠনের কাজ করোনা রুগি থেকে ব্যান্ডেল এলাকার যে কোন অসুস্থ পরিবারের পাশে সাহায্যের  হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ডাক্তারের কাছে রুগিদের নিয়ে যাওয়া। সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু দিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রক্তদান শিবিরের । শনিবার  রক্ত সংকট মেটাতে আমরা আসছি নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে অনুষ্ঠিত হল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ।  ব্যান্ডেল ১ নং গান্ধী কলোনী প্রাইমারি স্কুলে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের।  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী। রক্তদাতাদের হাতে গাছের চারা তুলে দেন অভিনেতা। এদিন শিক্ষক, সাফাইকর্মী, প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানানো হয় সংগঠনের তরফে। আমরা আসছি মানুষের সেবায় মানুষের পাশে সংগঠনের সাথে যুক্ত ২৫০ জন। শনিবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ছিলাম। সংগঠনের এক সদস্য বলেন করোনা মহামারি,লকডাউনের মধ্যে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রক্তের চাহিদা কিছুটা মেটাতে রক্তদান শিবির । মোট ৮৫ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছে। দুশো জন রক্তদাতা রক্ত দেবার জন্য এসেছিল। সবাই রক্ত না দিতে পারার কারনে আরও একদিন ঠিক করা হচ্ছে রক্ত দেওয়ার জন্য। রক্তদান শিবির করে প্রথমে চিন্তায় ছিলাম।রক্তদাতা পাওয়া যাবে তো ?  কিন্তু পরে দেখলাম  সংখ্যটা অনেক বেশী হয়ে গেছে। আমরা রক্তের চাহিদা কিছুটা মেটাতে পারবে ভেবে খুব খুশী।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।